পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের নেতা ইমরান খান লংমার্চ চলাকালে তাকে গুলি করে হত্যাচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এবং সেনাবাহিনীর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জড়িত বলে যে অভিযোগ করেছেন, তা ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। শনিবার (৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডন।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পিটিআই প্রধান এবং দলের সিনিয়র নেতাদের বহনকারী কনটেইনারটি যখন ওয়াজিরাবাদের আল্লাহওয়ালা চকে পৌঁছায় তখন হামলার শিকার হন ইমরান খান। আগাম নির্বাচনের দাবিতে পিটিআইয়ে এই ‘হকিকি আজাদি’ মিছিলে হামলার ঘটনায় ইমরান ছাড়াও সাত জন আহত হয়। আর মৃত্যু হয় একজনের।
ইমরান খান অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ ও একজন সিনিয়র গোয়েন্দা কর্মকর্তা তাকে হত্যার সঙ্গে জড়িত। এজন্য তাদের পদত্যাগের দাবিও জানিয়েছেন পিটিআই। হত্যাচেষ্টার পর শুক্রবার (৪ নভেম্বর) প্রথমবারের মতো জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে ইমরান ওয়াজিরাবাদে হামলার বর্ণনা দেন। তিনি বিশেষ করে সেনাবাহিনীর প্রধান (সিওএএস) জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াকে তার প্রতিষ্ঠানে থাকা ‘কালো ভেড়াদের’ জবাবদিহিতার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
এ প্রসঙ্গে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান এবং বিশেষ করে একজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও দায়িত্বজ্ঞানহীন অভিযোগ একেবারেরই অগ্রহযোগ্য।
খুবই পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা এবং সুশৃঙ্খল সংগঠন হিসাবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী আত্মগর্বিত। এ বাহিনীর অভ্যন্তরীন জবাবদিহিতামূলক ব্যবস্থা খুবই কঠোর এবং কার্যকর। দায়িত্বে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের কোনওরকম বেআইনি কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য।
কিন্তু উদ্ভট অভিযোগ তুলে বাহিনীর কারও মান-মর্যাদা কালিমালিপ্ত করা হলে সেনাবাহিনী তাদের কর্মকর্তা ও সেনাদের সুরক্ষা দেবে, তা যাই ঘটুক না কেন, বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
Leave a Reply